দোহারের নারিশা উচ্চ বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীকে পিটিয়ে জখম করল শিক্ষক

দোহারে শিক্ষার্থীকে পিটিয়ে জখম করল শিক্ষক

ঢাকার দোহারের নারিশা উচ্চ বিদ্যালয়ের মো. নোমান (১৪) নামে অষ্টম শ্রেণির এক শিক্ষার্থীকে পিটিয়ে জখম করেছে ওই প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক মো. আজিম খান। অচেতন অবস্থায় ওই শিক্ষার্থীকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায় পরিবারের সদস্যরা। রবিবার স্কুল চলাকালীন বেলা ১২টার দিকে এই ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, প্রতিদিনের মতো নারিশা উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির মেধাবী শিক্ষার্থী নোমান বিদ্যালয়ে আসে। তৃতীয় ঘন্টার সময় ক্লাসে নোমান দুস্টমি করলে প্রতিষ্ঠানটির প্রধান শিক্ষক মো. আজিম খান তাকে ক্লাসে গিয়ে দুস্টমির কারন জিজ্ঞেস করে বেত্রাঘাত শুরু করেণ। বেত দিয়ে পেটাতে পেটাতে নোমানকে শ্রেণিকক্ষ থেকে লাইব্রেরিতে নিয়ে আসেন। পিটুনি খেয়ে একপর্যায়ে নোমান জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। খবরটি ওই শিক্ষার্থীর পরিবারের কাছে পৌঁছলে তারা অচেতন অবস্থায় নোমনকে স্কুল থেকে নিয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। খবর পেয়ে হাসপাতালে আসেন উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট সালমা খাতুন ও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. লিয়াকত আলী।

নোমানের মা ঝর্ণা বেগম বলেন, আমার ছেলে দুষ্টমি বা অন্যায় করে থাকলে শাসন করবে ঠিক আছে। কিন্তু শাসনের নামে বেত দিয়ে পিটিয়ে জখম করে ফেলেছে ওই শিক্ষক। এর আগেও সে অন্য শিক্ষার্থীদের অমানবিকভাবে পেটানোর অভিযোগ রয়েছে প্রধান শিক্ষক আজিমের বিরুদ্ধে।
অভিযুক্ত নারিশা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আজিমের কাছে মুঠোফোনে এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে তিনি এ বিষয়ে কিছু বলতে রাজি হননি।

উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) সালমা খাতুন বলেন, বিষয়টি ইউএনও স্যার অবগত হয়ে আমাকে পাঠিয়েছেন। আমি হাসপাতালে এসে দেখেছি ছেলেটির শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। এভাবে শিক্ষার্থীকে পেটানোর কোন বিধান নেই। বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে।

আপনি আরও পড়তে পারেন

Leave a Comment